Header Ads

Header ADS

আল্লামা সাইদীর মুক্তি চাই #FreeSayedee #SaveBangladesh



জামায়াতের নায়েবে আমির বা দেলু ওরফে দেইল্লা রাজাকার হিসেবে নয় বিশ্ব নন্দিত মুফাচ্ছিরে কোরআন হিসেবে অল্লামা সাঈদীর মুক্তি চাই।
(আমাদের সবার আদর্শ এক না। পৃথিবীতে আদর্শের ভিন্নতা আগেও ছিল এখনো আছে।কোন আর্শের জন্য নয় ন্যায়ের জন্য আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মুক্তি চাই)
★ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় ঘোষনার দিন বেঞ্চের পিজাইডিং জজ মাননীয় বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর বলেন,এই মামলার আসামি দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, তাঁর পরিচয় বলার কোনো দরকার নাই।ওনার ওয়াজ শোনার জন্য হাজার হাজার মানুষ যান। তিনি শুধু প্রখ্যাত মওলানা নন, তিনি দুইবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির। প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা কি জামায়াতের নায়েবে আমির বা সাংসদ হিসেবে তাঁর বিচার করছি? উত্তর, না। আসুন, আমরা ফিরে যাই ৪০ বছর আগে। তখন সাঈদী ৩০ বছরের যুবক ছিলেন। পিরোজপুরের সাউথখালি গ্রামে তাঁর বাড়ি, বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। তখন তিনি ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না, সাধারণ মানুষ ছিলেন। গ্রামের লোকেরা তাঁকে দেলু বলে ডাকত।পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল দেলু ওরফে দেইল্লা রাজাকার।
★ আসুন একটু দেখি সাঈদী ও দেলু রাজাকার এককিনা?
পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সরবরাহকৃত রাজাকারের তালিকায় ৪৬ নম্বর ক্রমিকে দেলোয়ার শিকদার নামে একজন রাজাকারের নাম আছে যার পিতার নাম রসুল সিকদার উল্লেখ আছে।পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তদন্ত কর্মকর্তার কাছে প্রেরিত ঐ তালিকায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম নেই। দাখিল ও আলিমের সার্টিফিকেটসহ সব ধরনের ডকুমেন্টেই মাওলানা সাঈদীর নাম আছে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এবং পিতার নাম আছে ইউসুফ সাঈদী।
★ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পরে ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করা হয়েছিল তাতে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম ছিলনা।
★ ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যারা শান্তি কমিটি, রাজাকার, আল বদর ও আল শামস হিসেবে কাজ করেছে তাদের বিচারের জন্য কোলাবোরেশন "স্পেশিয়াল ট্রাইব্যুনাল অর্ডার ১৯৭২" যা ১৯৭২ সালের ২৪ জুন জারি করা হয় এবং এই আইনের অধীনে ৩৭৪৭১ টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল এবং ৫০০০০ জনের মতো আসামী গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাতে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম ছিলনা।
★ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৯ সালে সরকার ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করে তাতেও
আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম ছিলনা।
★ মুক্তিযোদ্ধাদের বয়ানে সাঈদীঃ ৯নং সেক্টেরের সাব-সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন আহমেদ রায় ঘোষনা দিন রাত ১০/১১ টায় এটিন নিউজের একটি প্রোগ্রামে মুন্নী সাহা তাকে প্রশ্ন করলেন সাইদী কি কর্মকান্ড ছিল ১৯৭১ সালেঃ তিনি উত্তরে বলেন আমি তো ঐ এলাকার কমান্ডার ছিলাম মুক্তিযুদ্ধের পরে পিরোজপুরের রাজাকার হিসেবে বিচার করার জন্য যাদের তালিকা করা হয়েছিল তাতে তার নাম ছিলনা। রাজাকার হিসেবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ঐ সময়ে আমার কাছে কেউ আসেনি।
★ এবার আসি তার মামলায়,,,
তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ২০ টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। এর মধ্যে ১২ টি অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেয়া হয় এবং ৮ অভিযোগে তাকে ট্রাইব্যুনাল তাকে সাজা প্রধান করে এবং দুটি অভিযোগ তাকে মৃত্যুদন্ড প্রধান করে(যদিও পরে অ্যাপিলেট ডিবিশন তাকে অামৃত্যু কারা দন্ড প্রধান করে)। এই দুটি অভিযোগ হলো...
১.ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
২.বিসাবালিকে হত্যার দায়ে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
★ একটু খতিয়ে দেখি অভিযোগ দুটি।
ক. ইব্রাহিম কুট্টি হত্যার জন্য তার স্ত্রী ১৯৭১ সালে একটি মামলা দায়ের করেছিল তাতে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর নাম ছিলনা।
খ. বিসাবালির ভাই সুখরঞ্জন বালী বৈরিসাক্ষী হিসেবে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে সাক্ষী দিতে এলে তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গেট থেকে অপহরন করা হয়। পরে তার খোজ মেলে ভারতের কোলকাতার একটি কারাগারে। কি আশ্চর্য!!
★ এবার একটু তার বিচারের সাক্ষীর জেরা শুনি।
ডিফেন্স লইয়ারঃ আপনি কি দেখেছেন?
সাক্ষীঃ আমি তাকে হাজি (সাজি যাতে কাজের লোক দিয়ে বাজার সদাই টানেন বৃত্ত শালীরা) ভর্তি লুট কৃত মালমাল নিয়ে যেতে দেখেছি।
ডিফেন্স লইয়ারঃকিভাবে তা নিয়েছেঃ
সাক্ষীঃহাজিতে ভরে নিয়েছে।
ডিফেন্স লইয়ারঃআপনার ভয় করেনি তাকে দেখেঃ
সাক্ষীঃনা।
ডিফেন্স লইয়ারঃহাজিতে কি কি ছিলঃ সাক্ষীঃপ্লেট,গ্লাস,জগ,মগ আরো আনেক কিছু।
ডিফেন্স লইয়ারঃকতদূর থেকে দেখেছেনঃ
সাক্ষীঃএকদম কাছথেকে।
ডিফেন্স লইয়ার আপনি তো সাঈদীর থেকে অনেক খাটো তো কিভাবে দেখলেনঃ
সাক্ষীঃচুপ....
★ হিটলারের তথ্যমন্ত্রী ছিলেন জোসেফ গোয়েবলস তার একটি তত্ব ছিল" যদি কোন মিথা বার বার প্রচার করা হয় তা সত্যে পরিনত হয়" এই তত্ব হয়তো কিঞ্চিৎ কাজে দিছে আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ক্ষেত্রে। তবে জনগণ তা বিশ্বাস করেনি,কারন তার এলাকায় বিচারপরবর্তীতে তার ছেলে বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিল।
★পরিশেষে জামায়াতের নায়েবে আমির বা দেলু ওরফে দেইল্লা রাজাকার হিসেবে নয় বিশ্ব নন্দিত মুফাচ্ছিরে কোরআন হিসেবে অল্লামা সাঈদীকে মুক্তি দিন। এখন তার বয়স ৮২। তার হার্টে রিং পরানো।তাই অসুস্থতা ও বয়স বিবেচনায় মানবিক কারনে তাকে মুক্তিদিন।









No comments

Total Pageviews

Powered by Blogger.